নভেম্বার ২৯, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

+৮৮০১৭৪৪-২২১৩৮৫

কমিশনের ‘চাপে’ প্রত্যাহার আবেদন বাফুফের সভাপতি প্রার্থীর

  • Views: 524
  • Share:
অক্টোবার ২০, ২০২৪ ১৭:৪৬ Asia/Dhaka

নিউজ ডেস্কঃ বাফুফে সভাপতি পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন চার জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান মনোনয়ন জমা দেননি। বাকি তিন জনের মধ্যে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহাদাত হোসেন জুবায়ের সভাপতি ও নির্বাহী সদস্য দুই পদে মনোনয়ন সংগ্রহ এবং জমা দিয়েছিলেন।

আজ তিনি সভাপতি মনোনয়ন পত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন। এই আবেদন গৃহীত হলে সভাপতি পদে তাবিথ আউয়ালের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকবেন শুধু দিনাজপুরের তৃণমূলের কোচ মিজানুর রহমান।

নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী আজ মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন। গতকাল বাফুফে সচিবালয় থেকে দুই পদে মনোনয়ন জমাদানকারীদের আজ সভার পূর্বেই একটি পদে মনোনয়ন নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী শাহাদাত হোসেন জুবায়ের সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে সদস্য পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। সহ-সভাপতি ও সদস্য পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া সাবেক জাতীয় ফুটবলার ইকবাল এখনো সিদ্ধান্ত নেননি।
 
বাফুফে নির্বাচনে তফসিল অনুযায়ী প্রত্যাহারের সময় ১৯ ও ২০ অক্টোবর। প্রত্যাহারের আগেই মনোনয়ন সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ/নির্দেশনার জন্য প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই বিষয়ে বলেন, ‘প্রার্থীকে একটি পদ নির্ধারণ করতে হবে। আমরা মৌখিকভাবে জানিয়েছি। সচিবালয় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।’


বাফুফে দুই পদে মনোনয়ন বিক্রি করেছে। দুই পদে মনোনয়ন বিক্রি এবং জমা যেহেতু নিয়েছে। সেই হিসেবে যাচাইবাছাই হওয়ার কথা। যাচাই বাছাইয়ের আগে প্রার্থীকে এক পদ থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি বেশ সমালোচনা হচ্ছে। বাফুফে নির্বাচন বিধিমালায় দুই পদে মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু নেই। ২০১৬ সালে নির্বাচনে দুই পদে মনোনয়ন জমা দেয়া প্রার্থীরা প্রত্যাহারের দিন প্রার্থীতা সরিয়েছিলেন।

ফুটবল, ক্রিকেট বাদে বাকি সকল ফেডারেশনের নির্বাচন পরিচালনা করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সেই নির্বাচনে একাধিক পদে মনোনয়ন জমা হওয়ার পর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় নাম উঠে। এরপর প্রত্যাহারের সময় প্রার্থীরা এক পদে থেকে সরিয়ে নেন। কোনো পদ থেকে প্রত্যাহার না করলে প্রার্থীর উভয় পদের প্রার্থীতা বাতিল হয়। ২০০৮ সাল থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন। তার পঞ্চম মেয়াদে এসেও বাফুফের নির্বাচনে নতুন প্রশ্ন উঠেছে।

user
user
Ad
Ad